ভোলায় অভ্যন্তরীণ নৌ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ

জেলায় দুর্যোগপূর্ণ  আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ রুটের সকল যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো: শহিদুল ইসলাম। মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে উত্তাল রয়েছে নদী। মাছ শিকারের সকল নৌযানকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম জানান, নদী বন্দরে ২ নং সতর্ক সংকেত ও সমুদ্রে ৩ নং সতর্ক সংকেত রয়েছে। উত্তাল রয়েছে স্থানীয় মেঘনা ও তেতুলীয়া নদী। এমন অবস্থায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোলা-বরিশাল, ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট, তজুমদ্দিন-মনপুরাসহ সকল অভ্যন্তরীণ রুটের নৌযান ও সীট্রাক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে আজও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার রাত থেকে জেলায় টানা বর্ষণ চলছে। সকাল থেকে জেলার সর্বত্র বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। অতি জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নি¤œাঞ্চল।এতে করে ভোলার সদর উপজেলা, দৌলতখান, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । ওই সব গ্রামরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সকাল বিকেল ২ বেলা পানি বন্ধি হয়ে পড়ছে ওই সব এলাকার মানুষ। জোয়ার এলেই ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকা। পানিতে নষ্ট হয়েছে ফসলের ক্ষেত। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্যা পুকুরে মাছ ভেসে গেছে জোয়ারের পানিতে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসান মাহমুদ বাসস’কে জানান, গতকাল মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আজও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে পানি। জেলার সর্ব দক্ষিণে মনপুরায় আজ দমকা হাওয়া ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অতি জোয়ারে বিভিন্ন নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: মনির হোসেন বাসস’কে বলেন, গতকাল ভোর ৬ টা থেকে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। আগামীকালও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।