ভোলায় ১’শ ৪ কোটি ব্যয়ে ৮টি মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে

জেলার ৭ উপজেলায় ১’শ ৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭ উপজেলায় ৮৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টির কাজ চলমান ও জেলা শহরের জন্য ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটির কাজ শিগ্রই শুরু করা হবে। ১৭০ ফিট বাই ১১০ ফিট জায়গার উপর তৃতীয় তলা বিশিষ্ট উপজেলার মসজিদগুলো নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রত্যেকটি মসজিদে পুরুষ, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের আলাদা ঘর, ইসলামিক রিসার্চ এন্ড অটিজম কেন্দ্র, ইসলামিক বুক সেলফ, ইমাম ট্রের্নিং সেন্টারসহ অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। জেলা গণপূর্ত বিভাগ আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট এলাকায় গত বছরের জুনে ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এটার ১৫ ভাগ কাজের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে। দৌলতখান উপজেলার মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। দৌলতখান উপজেলা কমপ্লেক্সের সমানে এটির বর্তমানে পাইপ লোড টেস্টের কাজ চলছে। এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তারা আরো জানান, একইভাবে ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তজুমোদ্দিন উপজেলায় মসজিদ নির্মাণ কাজ চলছে। এ বছরের মধ্যেই এর কাজ শেষ করা হবে। মনপুরায় ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদের সার্ভিস পাইলের ঢালাই কাজ চলছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। বোরহানউদ্দিনে মসজিদের ফাউন্ডেশনের কাজ এগিয়ে চলছে। ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে এটির কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে।

এছাড়া লালমোহন উপজেলায় ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যে মসজিদের টেস্ট পাইলের কাজ চলছে এবং ১৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে সার্ভিস পাইলের ঢালাই চলছে চরফ্যাসন উপজেলার মসজিদের। এদুটো মসজিদের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে। জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ আজ জানান, এসব মসজিদের প্রথম তলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের ঘর, মরদেহ গোসল ঘর, পানি সংরক্ষণ ঘর, গার্ড রুম, ইসলামিক বুক সেলফসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকছে। দ্বিতীয় তলায় প্রধান নামাজের স্থান, অফিস কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ এন্ড অটিজম কেন্দ্র, মিটিং রুম থাকছে। তৃতীয় তলায় ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ ঘর, গেষ্ট রুম, ইসলামিক গ্রন্থাগার, টয়লেট জোন ও স্টাফদের রুম রয়েছে।

কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ আরো জানান, ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের মসজিদ নির্মাণ কাজের টেন্ডার পক্রিয়া খুব শিগ্রই গ্রহণ করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ শেষ করার জন্য। কাজের গুণগত মান শতভাগ বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান জেলা গণপূর্তের প্রধান এ কর্মকর্তা।

জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস নোমান বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে বাংলাদেশ সরকারের নিজ অর্থায়নে এসব মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। ধর্মীয় গোড়ামী, অপব্যাখ্যা রোধ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখবে এসব মসজিদ। একইসাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামিক ভাবধারা উজ্জিবীত করতে সহায়তা করবে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তাই মসজিদ নির্মাণ সরকারের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান