ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যাহত করতে হ্যাকারদের টার্গেট সম্পর্কে আইবিএমের সতকর্তা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বে অনেকগুলো ভ্যাকসিন অনুমোদিত হতে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীরা এখন হ্যাকারদের টার্গেট হয়ে উঠেছে। হ্যাকাররা উৎপাদনকারীদের ব্যবসায়িক গোপনীয়তা চুরি অথবা সরবরাহ লাইন ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আইবিএম বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা ধারাবাহিক অনেকগুলো সাইবার হামলার ঘটনা উদঘাটন করেছে, সম্ভবত সরকারী সংস্থাগুলো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহে জড়িত কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম ব্যহত করতে এই সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে। অবশ্যইএই ভ্যাকসিন শীতলীকরণ অবস্থায় সরবরাহ করতে হবে।
বিশ্বের জায়ান্ট কম্পিউটার উৎপাদনকারী কোম্পানি আইবিএম বলেছে,ইউরোপিয়ান কমিশনের ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর ট্যাক্সেশন এন্ড কাস্টমস ইউনিয়ন সাইবার হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল। পাশাপাশি সরবরাহ চেইনে জড়িত ইউরোপিয়ান এবং এশিয়ান কোম্পানিগুলো হামালার টার্গেট করা হয়। তবে কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সাইবার নিরাপত্তায় কর্মরত গ্রুপ আইবিএম এক্স ফোর্স বিশ্লেষক ক্লেয়ার যাবোয়েভা ও মেলিসা ফ্রাইড্রিস একটি ব্লগ পোস্টে বলেন,‘ আমাদের টিম সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ প্রক্রিয়ায় কোল্ড চেইনে (শীতলীকরণ ব্যবস্থায়) জড়িত সংস্থা লক্ষ্য করে বিশ্বব্যাপী তথ্য চুরির প্রচেষ্টা উদঘাটন করেছে।’
ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন বিতরণে বুধবার সবুজ সংকেত দিয়েছে ব্রিটেন। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে অবশ্যই এই ভ্যাকসিন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হবে।
এ জন্য ভ্যাকসিন বিতরণে চায়নিজ কোল্ড চেইন সরবরাহ কোম্পানি হায়ার বায়োমেডিক্যালের মতো বিশেষায়িত লজিস্টিক কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন হবে। এই কোম্পানি জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।