মণিপুরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে মোরা

উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশ ভূখণ্ড প্রায় অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে ঘূর্ণিঘড় মোরা উত্তর-পূর্ব দিকে সরে ভারতের মণিপুর রাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

তবে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূল পেরিয়ে গেলেও অন্তত আরও ১২ ঘণ্টা বৈরি আবহাওয়া, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আবহওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আজ রাত ১১টার পর থেকে অবস্থার উন্নতি হতে পারে।

এদিকে উইন্ডি ডটকমের তথ্য মতে, প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী সহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। ঝড়ে কয়েকশ’ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপদ্রুত এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় অনেক মাছধরা ট্রলার এখনো নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে পারেনি।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং কক্সবাজার বিমান বন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৩০ মে ২০১৭