দেশের ৯৮% সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের রাজাকারের বাচ্চা বলা, অর্থমন্ত্রীর আজকের সাংঘর্ষিক বক্তব্য, আটককৃতদের ছেড়ে না দেয়া, অসুস্থদের চিকিৎসারর দায়িত্ব না নেয়ায় ফের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। এবারের আন্দোলন সমন্বিত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। আন্দোলনকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর বাইরেও আরো দু’টি গ্রুপ তৈরি হয়।
সোমবার জাতীয় সংসদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় এবং মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী ‘বাজেটের আগে কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়’- এমন ঘোষণার প্রতিবাদই পুনরায় আন্দোলনের কারণ বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়েছে তারা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-অনির্দিষ্টকাল সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন এবং প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ।
এদিন সকাল থেকে মূল কমিটির বাইরে পৃথক দুটি কমিটিকে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন।
এর আগে গতকাল সচিবালয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আগামী মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যায় একটি পক্ষ। তারপর আজ কৃষিমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফের সব গ্রুপ এক হয়ে আ্দোলনে নেমেছে।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করতে থাকেন তারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান ও নুরুল হক নুর বিকেল ৫টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দিতে হবে। ঘোষণায় কবে নাগাদ কোটা সংস্কার করা হবে সেটি উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি এবং আহতদের সরকারি সহায়তায় চিকিৎসা দাবি জানান তারা। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল অবরোধ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে কমিটির নেতারা বিকেল ৫টার মধ্যে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় বিকেল ৫টার পর তারা ফের আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
আরএম/