মন্ত্রিসভায় পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা

মন্ত্রিসভা পদ্মা সেতু ইস্যুতে বিশ্ব ব্যাংকের অবস্থানকে দৃঢ়ভাবে চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ ধন্যবাদ জানানো হয়। কানাডার একটি আদালতে পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ হওয়ার দুই দিন পর আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা সন্দেহজনক অভিযোগের ভিত্তিতে এই মেগা প্রকল্পে প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান স্থগিত করার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের নিন্দা জানায়।

এতে বলা হয়, এর মাধ্যমে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশকে তার কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানোর দৃঢ় অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মন্ত্রিপরিষদের কার্যবিবরণীর উল্লেখ করে সচিব বলেন, কানাডার আদালতের রায়ে প্রমাণিত যে বিশ্ব ব্যাংক তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অথচ বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি হয়েছে।

এতে বলা হয়, যথাসময়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশ আরো ১.২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারতো। এই সেতু নির্মাণে বিলম্বের কারণে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ তার কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মন্ত্রিসভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, কানাডার আদালতের রায় বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত এবং বিশ্ব দরবারে সরকারের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বলতর করেছে।

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। মন্ত্রিসভা মায়ানমারের দেশছাড়া বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সহায়তায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় এবং বিশ্বের মধ্যে মালয়েশিয়াই প্রথম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করে।

সুত্র: বাসস