কিছু সংজ্ঞা পরিবর্তন করে নতুন ‘মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন ২০১৯’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
‘দ্য মাদরাসা এডুকেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৭৮’ অনুযায়ী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আগের আইনে ৪৩টি ধারা ছিল, এখন হলো ৩০টি ধারা। নতুন আইনে কিছু সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে, নতুন সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নতুন আইনে বিদ্যমান অধ্যাদেশের ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্ডিন্যান্সে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিলেন না। খসড়া আইনে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে বলে খসড়া আইনে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে।
খসড়া আইন অনুযায়ী, বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন হয় এমন কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পরামর্শক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে পারবে বোর্ড। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তহবিলের উৎস হিসেবে সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে বৈদেশিক উৎস থেকে অনুদান গ্রহণ করতে পারবে বলেও বিধান যুক্ত করা হয়েছে নতুন আইনে। এছাড়া খসড়া আইনে মাদরাসা শিক্ষার ধরন, মেয়াদ, মান ও যোগ্যতার সনদ নির্ধারণ বিষয়ে বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
আজকের বাজার/এমএইচ