মন খারাপ? দ্রুত খেয়ে নিন দই

চিরাচরিত বাংলায় দই একটি পুরনো ও জনপ্রিয় খাবার। পুষ্টিগুণের দিক থেকে বেশ এগিয়ে থাকা এই খাবারটি শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো করতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

গবেষণায় দেখা গেছে মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনও ভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস কমার পাশাপাশি অ্যাংজাইটিও কমতে শুরু করে। ফলে মন খারাপের প্রকোপ কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না। এছাড়া আরও কিছু স্বাস্থ্যোপকার বললেই চলে।

১. হাড়কে শক্ত করে: এক কাপ দই খেলে শরীরে প্রায় ৩০০ গ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রবেশ ঘটে। এ পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রতিদিন শরীরে প্রবেশ করলে হাড় অনেক শক্তপোক্ত হয়।

২. ওজন কমায়: নতুন বছরে ওজন কমানো যদি আপনার প্রথম এজেন্ডা হয়, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করুন। এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টি উপাদান শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলদের গলাতে শুরু করে।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে: দইয়ে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর সোডিয়ামের আধিক্য কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রসঙ্গত, শরীরে নুনের পরিমাণ বাড়তে থাকলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: সুস্থভাবে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চাইলে ডায়েটে থাকাটা বাধ্যতামূলক। দইয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: দইয়ের প্রচুর পরিমাণ উপকারি ব্যাকটেরিয়া থাকে যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতি এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আজকের বাজার: এলকে/ ১ জানুয়ারি ২০১৮