রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের ঢালে সংসদ সদস্যের গাড়ির চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে মহাখালী ফ্লাইওভারে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সেলিম। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি মহাখালী এলাকায় একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার জন্য মহাখালী ফ্লাইওভারের ঢালে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় নিহত হন সেলিম।
এ ঘটনায় বুধবার কাফরুল থানায় বাদী হয়ে নিহতের মেয়ের জামাই আরিফ ভূঁইয়া মামলা করেছেন।
বুধবার (২০ জুন) আরিফ জানান, আমার শ্বশুর মঙ্গলবার রাতে বাসায় যাওয়ার জন্য মহাখালী ফ্লাইওভারের ঢালে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। ওই সময় বেপরোয়া গতিতে চালানো ঘাতক গাড়িটি এসে ধাক্কা দিলে তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত সেলিম গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়ার পর গাড়িটি কিছু দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি আবার পিছিয়ে এসে তার মাথার ওপর চাকা উঠিয়ে দেয়। তখন মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে মারা যান তিনি।
আরিফ জানান, ঘটনার পর ফ্লাইওভার থেকে তার শ্বশুরের লাশ ও সেখান পড়ে থাকা গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে থানায় গিয়ে গাড়ির নম্বর উল্লেখ করে তিনি মামলা করেন।
তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি গাড়িটি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর। আমার শ্বশুরকে চাপা দেয়ার সময় গাড়িটি তার ছেলে সাবাব চৌধুরী চালাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, মামলার পর সংসদ সদস্যের ছেলের বিষয়টি জেনেছি।
এ বিষয়ে একরামুল করিম চৌধুরী বুধবার (২০ জুন ) জানান, গাড়িটি আমাদেরই। তবে আমার ছেলে দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিল না। আমাদের ৫জন গাড়িচালক আছেন। তাদের মধ্যে কেউ একজন গাড়িটি চালাচ্ছিল। আমি এখন নোয়াখালীতে অবস্থান করছি, তাই বলতে পারছি না গাড়িটি কে চালাচ্ছিল।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার মোহাম্মদ শামীম হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা গাড়ির নম্বর পেয়েছি।
বিআরটিএতে এই নম্বর পাঠিয়ে গাড়ির মালিকের বিস্তারিত তথ্য পাব, এর পর আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
ওসি আরও জানান, নিহত সেলিম ভূঁইয়ার লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে কাফরুল থানায় আনা হয়।পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজকের বাজার/এসএম