ঘর থেকে বেরালেই করোনায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি। আতঙ্ক আর সাবধানতা সব মিলিয়ে দেশে কমেছে অপরাধের পরিমাণ। স্বাধীন বাংলাদেশে এমন কম অপরাধ আর মামলার রেকর্ড একেবারেই নেই। পুলিশ-র্যাব ব্যস্ত করোনা মোকাবেলায়; তাই থানাগুলোতেও নেই সেই চিরচেনা ব্যস্ততা।
করোনা চেনে না কে অপরাধী আর কে পুলিশ। একটু অসাবধান হলেই আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ।
গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে মোট মামলা হয় যথাক্রমে ২ হাজার ২৪৭ এবং ২ হাজার ১৩১টি। রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার থানায় গড়ে প্রতি মাসে মামলা হয় ৫০ থেকে ৭০টি। খুন, ছিনতাই, ধর্ষণসহ নানা কারণে দিনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যস্ত থাকে পুলিশ। তবে গত দুসপ্তাহে সে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
পুলিশের গণমাধ্যম শাখা বলছে, রাস্তায় ঘনঘন চেকপোস্ট, আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত অবস্থান এবং মানুষের মাঝে করোনাভীতি সব মিলিয়ে এ অবস্থা।
মার্চের শেষ সপ্তাহে থেকে টানা সরকারি ছুটি। রাজপথে সেনাবাহিনীর অবস্থান এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘর থেকে বের হলে আইন ব্যবস্থা। এমন নানা বিধানে অপরাধের ঘোড়ায় লাগান টেনেছে।
উল্টোপথে যানবাহন, ট্রাফিক আইন লংঘনের কারণে রাজধানীতে প্রতি মাসে জমতো মামলার পাহাড়, জরিমানার অংশ ছুতো মিলিয়নের ঘর। সেখানেও হানা দিয়েছে করোনা। একেবারেই প্রয়োজন না হলে মামলা দিচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি নিয়মিত মামলায় আসামি গ্রেপ্তারেও আপাতত কিছুটা সহজ অবস্থানে আইনশৃংখলা বাহিনী।
মোড়ে মোড়ে মাইকিং, দুই ব্যক্তির মাঝে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখা এমন নানা উদ্যোগে নিজেদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তারা বলছেন, মহামারি সংক্রমণ ঠেকাতে ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন তারা। তবে, সতর্ক দৃষ্টি আছে, দৈনন্দিন অপরাধের দিকেও।
অপরাধ দমনে ঘুম-খাওয়া ভুলে কাজ করা র্যাব-পুলিশ এখন ব্যস্ত বিশ্ব শত্রু করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়। নিজেরা সুরক্ষিত থাকার কামনার পাশাপাশি তাদের চাওয়া করোনা পরবর্তী বাংলাদেশেও বজায় থাকুক অপরাধ কমে যাওয়ার এই ধারাবাহিকতা।