মাগুরায় পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে

জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ উঠিয়ে তা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ভালো দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৯০ হেক্টর, শ্রীপুরে ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর, শালিখায় ১ হাজার ১৪০ হেক্টর এবং মহম্মদপুরে ১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে । চাষকৃত জমি থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় জেলার পেঁয়াজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়া জেলায় পেঁয়াজের আবাদ সফল করতে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করায় পেঁয়াজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে । ইতিমধ্যে জেলার কিছু এলাকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ উঠিয়ে তার বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন।
এ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাল তীর কিং, বারি পেঁয়াজ-১, বারি-৪ পেঁয়াজসহ দেশি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এসব জাতের পেঁয়াজের সাদ গন্ধ হুবহু দেশী পেঁয়াজের মত। এ ছাড়া কৃষকরা এসব জাতের পেঁয়াজের বাজার মূল্য ভালো পায় এবং এটির সংরক্ষণ ক্ষমতাও বেশি। নতুন ওঠা এসব পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলার চার উপজেলার মধ্যে শ্রীপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলার চর মালায়নগর গ্রামের কৃষক রাজু রায় জানান, এবার সাড়ে চার বিঘা জমিতে লালতীর কিং জাতের পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুক’লে থাকার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পরামর্শে সময়মত সেচ ও সার দেওয়ায় পেঁয়াজের ফলন ভালো পেয়েছেন । সব মিলিয়ে এবার তিনি চাষকৃত জমি থেকে ২০০ থেকে ২৫০মণ পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারবেন বলেন আশা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ তুলে তা পাইকারি বাজারে ১ হাজার ১২০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন ।
একই গ্রামের কৃষক পরিমল বাছাড় জানান, তিনি এ বছর প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে লালতীর কিং জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। যা থেকে তিনি প্রায় ১৩৫ থেকে ১৫০ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার পাশপাশি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক জানান,এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় জেলায় পেঁয়াজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে । পেঁয়াজ চাষ সফল করতে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকার কারণে পেঁয়াজের কোন ক্ষতি হয়নি। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।