আজ ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য ছোট গল্প সমুহের মধ্যে অন্যতম ‘মধ্যবর্তিনী’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প 'মধ্যবর্তিনী' অবলম্বনে মাসুদ হাসানের চিত্রনাট্য ও শুভ্র আহমেদের পরিচালনায় প্রচারে আসছে বিশেষ নাটক ‘মাঝের মানুষ’।
এই নাটকটির প্রধান চরিত্র তিনটি। নিবারণ, হরসুন্দরী ও শৈলবালা। তাদের বয়স, জীবন দর্শন, উপলব্দি প্রকাশের ভিন্নতা পৃথক করেছে প্রত্যেককে।
আজ মঙ্গলবার মাছরাঙা টিভিতে সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে নাটকটি প্রচার হবে নাটকটি।
নাটকে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম,রোজী সিদ্দিকী,ইফফাত তৃষা প্রমুখ। এই গল্পের প্রধান তিনটি চরিত্র নিবারণ, হরসুন্দরী ও শৈলবালা নিয়ে অভিনয় করেন তারা। তাদের বয়স, জীবন দর্শন, উপলব্দি প্রকাশের ভিন্নতা পৃথক করেছে প্রত্যেককে। তাই এক এক দৃষ্টিকোণ থেকে চরিত্রগুলির যেমন বিচিত্রতা খুঁজে পাওয়া যায় তেমনি তারা হয়ে ওঠে সমকালীন।
পরিচালক শুভ্র আহমেদ জানালেন, ‘কিছুদিন আগে মানিকগঞ্জের জমিদার বাড়িতে নাটকটির দৃশ্যধারণ করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পে কাজ করা বেশ কঠিন। সেসময়কার কনসেপ্ট অনুযায়ী লোকেশন,কস্টিউম সবকিছু মিলিয়ে চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে।’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে- নিবারণ খুবই সহজ ও সাদাসিধে একটা মানুষ হলেও তার স্ত্রী হরসুন্দরী বেশ ধৈর্যশীলা। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হওয়া সত্ত্বেও কোথায় যেন এক শূন্যতা ছিল। হরসুন্দরী উপলব্দি করে, এ ঘরের শুন্যতা একটা শিশু যা ধারণের সামর্থ্য তার নেই। সে তখন নিবারণকে আরেকটি বিয়ের জন্য তাড়া দিতে থাকে।
স্বভাবতই প্রথমদিকে নিবারণ এ ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে কিন্তু ক্রমাগত তাড়ার মুখে পড়ে সে বিয়ে করতে রাজি হয়। একসময় সে কিশোরী, সুকুমারী, সুন্দরী শৈলবালাকে বিয়ে করে ঘরে তোলে। শুরু হয় নতুন গল্প।