কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য বন্দরটিই পরবর্তীতে সর্বাধুনিক গভীর সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মাতারবাড়িতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান নসরুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, এটা হবে এনার্জি-পাওয়ার ডিপ সি পোর্ট। যেটা শুরুতে পাওয়ার, এনার্জি ও কোলের জন্য ব্যবহার করব। পরবর্তীকালে একটা গভীর সমুদ্র বন্দর হবে বহুমুখি ব্যবহারের জন্য।
তিনি বলেন, এখানে ১২০০ মেগাওয়াট এর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, এজন্য কোল টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে একটা এলএনজি টার্মিনাল করব ল্যান্ড বেস (ভূমিতে)।
মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর করার লক্ষ্য ধরেই এই প্রকল্পটিতে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এখানে জায়গা রাখা হচ্ছে ল্যান্ড বেসড এলএনজি টার্মিনাল এবং কোল টার্মিনাল করার জন্য। এই কোল টার্মিনাল হলে পরে সারা বাংলাদেশে যতগুলো কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে সেখানে খুব সহজে কয়লা সরবরাহ দিতে পারব। এই প্রকল্পে প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টন কয়লা লাগবে। পরে আরও বেশি কয়লা আমদানি করা হবে যা বিভিন্ন কেন্দ্রে সরবরাহ করব।”
কয়েকশ জাপানি নয় মাস ধরে এখানে কাজ করছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে লক্ষ্য তাতে বড় সহায়ক হবে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প। মহেশখালী-মাতারবাড়ি এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য আছে।
তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পাশপাপাশি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে গভীর সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই এলাকা জুড়ে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করারও পরিকল্পনা আছে।
মাতারবাড়িতে জাপান সরকারের ঋণ সহায়তায় বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি সংস্থা জাপানি কনসোর্টিয়াম। প্রকল্পটির দ্বিতীয় প্যাকেজের অংশ হিসেবে ১৪ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ, ২৫০ মিটার চওড়া এবং সাড়ে ১৮ মিটার গভীরতার সমুদ্র চ্যানেল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কোল পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি আবুল কাশেম।
আজকরে বাজার: এনএল/ এসএস ৬ জানুয়ারি ২০১৮