বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি লাখে ১৯৬ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৯৪।
বুধবার ২২ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১৬’-এর তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (এনআইপিওআরটি), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এই জরিপ করেছে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ‘মাতৃমৃত্যুর প্রবণতা: ১৯৯০ থেকে ২০১৫’ (ট্রেন্ডস ইন মেটার্নাল মরটালিটি: ১৯৯০ টু ২০১৫) শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২৫ বছরে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ । জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল, জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিভাগ ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়—গর্ভাবস্থায়, সন্তান জন্মদানের সময় এবং সন্তান জন্মের ছয় সপ্তাহের মধ্যে মায়ের মৃত্যু হলে সেটাই ‘মাতৃমৃত্যু’।
এর আগে ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেছিলেন, গত নয় বছরে দেশে প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু জরিপ অনুযায়ী এ হার ছিল প্রতি এক লাখে ৩২২ জন।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, দেশে মাতৃমৃত্যু কমছে না।
আজকের বাজার: আরআর/ ২২ নভেম্বর ২০১৭