মাদক পাচার বন্ধে মিয়ানমার সহায়তা করছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাদক পাচার বন্ধে মিয়ানমার কোন সহায়তা করছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সোমবার(১১ জুন) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“এতে মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।”

মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ১৭৮টি এবং ২০১৭ সালে ৪ কোটি ৭৯ হাজার ৪৪৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত উদ্ধার হয় ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬১১টি ইয়াবা ট্যাবলেট।

ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ জোন স্থাপনের কথাও মন্ত্রী জানান।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, “মাদক সম্রাট বা মাদক গড ফাদারদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ধরে অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।”

তিনি জানান, ২০১৬ সালে ৮৭ হাজার ১৪ জন মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে ৬৯ হাজার ৬৩৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এক লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জনের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও সংসদকে জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত বছর ১২ হাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাদক সংক্রান্ত ৫ হাজার ৯৯১টি মামলা করা হয়েছে। চলতি বছর মে পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৫৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ হাজার ৪১৬টি মামলা করা হয়েছে। এ সময় দুই হাজার ৬৫৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।”

আরজেড/