একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বাগেরহাটের খান আশরাফসহ ১৩ জনের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল।
৩১ মে বুধবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
অভিযুক্তরা হলেন- বাগেরহাটের খাঁন আশরাফ আলী (৬৫), খাঁন আকরাম হোসেন (৬০), সূলতান আলী খাঁন (৬৮), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪), মকছেদ আলী দিদার (৮৩), শেখ উকিল উদ্দিন (৬২), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১), শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৬৪), মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৬৯), হাশেম আলী শেখ (৭৯), আজাহার আলী শিকদার (৬৪), মকবুল মোল্লা (৭৯), আব্দুল আলী মোল্লা (৬৫)।
অভিযুক্তদের মধ্যে আজহার আলী শিকদার বিএনপি সমর্থক। বাকি সবাই জামায়াতের সমর্থক।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে একই বছর ২৬ খাঁন আকরাম হোসেন, ইদ্রিস আলী মোল্লা, শেখ মো. উকিল উদ্দিন এবং মকবুল মোল্লা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
গত ২৮ মার্চ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর সাত অপরাধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালের ৪ জুন তদন্ত শুরু গত ২২ জানুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৫৭ জন মূল ও ৩ জন জব্দ তালিকার সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই তাদের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের ৪৫ তম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তা প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও হত্যার মতো ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধ তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৩১ মে ২০১৭