মায়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ দেয়া এবং এ ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মায়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় চীন ও রাশিয়ার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, একদিকে মানবিক সাহায্য অন্যদিকে রোহিঙ্গা গণহত্যার সমর্থন করা দ্বিচারিতা। আমি আশা করবো বৃহৎ শক্তি এই দ্বিচারিতা থেকে সরে আসবে।
২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসব কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মুক্ত আলোচনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি যে, চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মায়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে চীনও মানবিক সাহায্য পাঠাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে একদিকে মানবিক সাহায্য অন্যদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনকেও সমর্থন করা দ্বিচারিতা। আমি আশা করবো বৃহৎ শক্তি এই দ্বিচারিতা থেকে সরে আসবে।
তিনি বলেন,মানবিক সাহায্য যারা করতে চান করবেন।কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে মায়ানমারের বর্বর গণহত্যাকে সমর্থন করা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আমি আশা করি এটাই তাদের শেষ পদক্ষেপ নয়। আমি আশা করি চীন ও রাশিয়া এ মানবিক সংকটে,মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে মানবতার,সত্য,ন্যায় ও যৌক্তিকতার পক্ষে অবস্থান নেবে। দ্বিচারিতা আমরা আশা করি না।
কাদের বলেন, চীন ও রাশিয়া বৃহৎ শক্তি। তারও আমাদের বন্ধু দেশ। এ মানবিক সংকটে তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ মানবিক সংকটে আমাদের সাহায্যের অভাব নেই। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাঁরাও আমাদের সাত হাজার টন ত্রাণ সাহায্য দিয়েছে, যার প্রথম চালান আমি নিজেই গ্রহণ করেছি। সাহায্য আমরা পাচ্ছি, আমাদের দেশের ভেতর থেকেও এত সাহায্য আসছে যে এখনও আমাদের সরকারি ত্রাণ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, দেবী দুর্গা চেতনা আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে অস্প্রাদায়িক মানবতাবাদী শক্তির নবউত্থান ঘটুক এবারের দুর্গা উৎসবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশি-বিদেশি আসুরিক শক্তির দাপটে আজকে সম্প্রাদায়িক সম্প্রতি বারবার আঘাতের সম্মুখীন হচ্ছে, এতে সংখ্যালুঘরাই বেশি সংকটে পড়ছে। আজ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর অমানবিক, নির্যাতন নিপীড়ন ও ধর্ষণ হচ্ছে।
তিনি বলেন,রোহিঙ্গা স্রোত আসছে। গতকাল পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। জানি না এ ভার আমরা কি করে বহন করব? এ বিশাল বোঝা সমাধান করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জামান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেনগুপ্প, সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিএল চ্যাটার্জী প্রমুখ।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭