মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর রুল ৩(৫) এর কার্যকারিতার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ালো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আরও দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৬৭০তম সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
আরও জানা যায়, এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দুই বছর বিনিয়োগকারীদের ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ থাকছেনা। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩ (৫) এ বলা হয়েছে, যখনই ইক্যুইটি ক্লায়েন্টের মার্জিন অ্যাকাউন্ট ডেবিট ব্যালেন্সের ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে তখন হাউজগুলো ঋণ সমন্বযের জন্য ক্লায়েন্টকে অবহিত করবে। যাতে কোনোভাবেই ইক্যুইটি মার্জিন ঋণের ১৫০ শতাংশের কম না হয়। হাউজগুলো ক্লায়েন্টকে অবহিত করার ৩ দিনের মধ্যে নগদ অর্থ কিংবা মার্জিনেবল সিকিউরিটিজ দিয়ে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয় করবে। ইক্যুইটি সন্তোষজনক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত ক্লায়েন্টের লেনদেন বন্ধ থাকবে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজের বেঁধে দেয়া সময়ে বিনিয়োাগকারীরা ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয় না করলে তাদের পোর্টফলিওতে থাকা শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি (ফোর্সসেল) করে তাদের পাওনা বুঝে নিতে পারবেন।
কিন্তু মন্দাবাজার পরিস্থিতিতে এ আইন বহাল থাকলে ক্ষডুগ্রস্থ বনিয়োগকারীরা নি:স্ব হয়ে যাবেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সামগ্রিক পুঁজিবাজারে। তাই আইনটি এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় স্থগিত করে রেখেছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে মাইনাসে থাকা পোর্টফলিও পুনর্বিন্যাস এবং ১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারা স্থগিত করার দাবি জানানো হয়। তাই ওই বছর ৯ এপ্রিল বিএসইসির ৪৭৫তম সভায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ,পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা ও ডিএসই’র আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্জিন এর কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এই আইনটির কার্যকারিতা বন্ধ করে আসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা - বিএসইসি।
আজকের বাজার /মিথিলা