মায়ানমারের প্রস্তাব একটি কৌশল

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মায়ানমার সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছে তাকে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর একটি কৌশল হিসেবেই বলে মনে করছে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় বাংলাদেশ চায় আন্তর্জাতিক মহল থেকে দেশটির ওপর চাপ আরও বাড়ানো হোক।

১০ অক্টোবর মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ,বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও পর্যালোচনা’বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন,মায়ানমার নিজেরা যাচাই–বাছাই করে প্রত্যাবাসনের কথা বলছে। এবং এ ক্ষেত্রে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যে নীতি নেওয়া হয়েছিল, সেটাকে অনুসরণ করতে চাইছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার এবারের পরিস্থিতির মাত্রা ও ভিন্নতার বিষয়ে মায়ানমারকে জানিয়েছে এবং প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটা খসড়া প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চায়, আন্তর্জাতিক চাপটা অব্যাহত থাকুক। ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ সরকার মায়ানমারের সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের নিস্পৃহ মনে হয়েছে। তারা বাংলাদেশ সফর করেছে তবে কখনোই আলোচনা এগোয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে মায়ানমার কী করছে, সেটা দেখেই বোঝা যাবে মায়ানমার সত্যিই প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কি না। বাংলাদেশ কী করেনি? বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও করেছে, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে। এর আগে একবারই জাতিসংঘের মহাসচিব লেবাননের সমস্যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল। আর এবার রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে চিঠি দিল। এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মোট চারটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলো।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১০ অক্টোবর ২০১৭