মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়ার উপদেষ্টা ও জাপানের সাংবাদিককে মুক্তি দিবে

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত, একজন জাপানি সাংবাদিক এবং একজন অস্ট্রেলিয়ান অর্থনৈতিক উপদেষ্টাসহ প্রায় ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশুৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে এবং বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের ফলে ভিন্নমতের হাজার হাজার লোক জেলে গেছে।
অভিযানে কয়েক ডজন বিদেশী নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান, অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতি উপদেষ্টা শন টার্নেল এবং জাপানি সাংবাদিক তোরু কুবোতাকে ‘জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তি দেওয়া হবে’, একজন সিনিয়র অফিসার এএফপি’কে একথা জানিয়েছেন।
তারা বলেছিল, ‘সামগ্রিকভাবে, প্রায় ৬শ’ মহিলা বন্দীসহ ৫,৭৭৪ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযানের সময় ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তারা জানায়নি।
বোম্যান, যিনি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আগস্টে তার স্বামীর সাথে আটক করা হয়েছিল। কারণ তিনি তার বিদেশীর নিবন্ধন সনদপত্রে তালিকাভুক্ত ঠিকানা থেকে ভিন্ন ঠিকানায় বসবাস করছেন।
পরে তাদের এক বছরের জেল হয়। তার স্বামী বিশিষ্ট শিল্পী হিতেন লিনকেও মুক্তি দেওয়া হবে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পরপরই যখন তাকে আটক করা হয়, তখন মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা সু চির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন শন টার্নেল।
সেপ্টেম্বরে, তাকে এবং সু চিকে সরকারী গোপনীয় আইন লঙ্ঘনের কারণে একটি জান্তা আদালত দোষী সাব্যস্ত করে এবং প্রত্যেককে তিন বছরের জন্য কারাদন্ড দেয়া হয়।
২৬ বছর বয়সী কুবোতাকে জুলাই মাসে ইয়া্গংুনে একটি সরকার বিরোধী সমাবেশের কাছে মিয়ানমারের দুই নাগরিকের সাথে আটক করে এবং ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়।
মিয়ানমারে জাপানের দূতাবাসের একটি সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, জান্তা কর্তৃপক্ষ তাদের ‘জানিয়েছে  কুবোতাকে আজ মুক্তি দেওয়া হবে।’
সামরিক জান্তা বলেছে, কুবোটা ‘আজ জাপানের উদ্দেশে রওনা হবেন।’