মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়নের নৌবাহিনীকে কাজে লাগাবে সরকার। এ লক্ষ্যে দরপত্র ছাড়াই বাহিনীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। এ টাকায় সাড়ে ৯৩ লাখ ঘনমিটার মাটি সরাসরি ক্রয় করে সেখানকার ভূমি ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মাতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সূত্র মতে, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল-২ এ ব্লকের উন্নয়নের জন্য মাটি ভরাট করতে হবে। এ কাজে পাউবি প্রতি ঘনমিটার মাটির ক্রয়মূল্য সর্বনিন্ম ৩১৮ দশমিক ১৪ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৪০ দশমিক ৬৮ টাকা প্রস্তাব করেছে। এতে উন্নয়ন কাজের সর্বনিন্ম ব্যয় প্রায় ৩০৭ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩১৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়।

অপরদিকে প্রতি ঘনমিটার মাটির ক্রয়মূল্য ২২৩ দশমিক ২০ টাকার প্রস্তাব করেছে নৌবাহিনী। এতে ব্যয় দাঁড়ায় ২১৮ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এ উন্নয়ন কাজ প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে শেষ করতে সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু আসন্ন শীত মৌসুম অর্থাৎ আগামী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় কাজ শেষ করার জন্য ২০১৯ সালের শীত মৌসুমের অপেক্ষায় থাকতে হবে। এই বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শেষ করা প্রয়োজন।

মিরসরাই অথনৈতিক অঞ্চলটি সমুদ্রতীরবর্তী। সামুদ্রিক পরিবেশে নৌবাহিনীর কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে এ উন্নয়ন কাজ নৌবাহিনীর পক্ষে শেষ করা সহজ হবে মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭ কিলোমিটার দূরে মিরসরাই উপজেলা ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবস্থান। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৮৩১ একর জমিতে ব্লক প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। অঞ্চলটি সমুদ্রতীরবর্তী হওয়ায় ভূমির উচ্চতা সমুদ্র থেকে ৭ মিটারে উন্নীত করতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ১৫ মিটার ভরাটের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।

কিন্তু প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপিতে কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাকি উন্নয়ন কাজের ব্যয় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাকি উন্নয়ন কাজের ব্যয় বেজার নিজস্ব অর্থায়নে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৯ নভেম্বর ২০১৭