খুলনা টাইগার্সের দুই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এলিমিনেটর ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয়েছে রংপুর রাইডার্স।
মিরাজ ও নাসুম ৩টি করে উইকেট নেন। আকিফ জাভেদ ৩২ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান ২৩ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় রংপুর। স্ট্রাইকে যাবার আগেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন ওপেনার সৌম্য সরকার।
পরের ওভারে খুলনার স্পিনার নাসুমের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ১ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার জেমস ভিন্স। ৩ রানে ২ উইকেট পতনের পর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি রংপুর।
চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ, টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় রংপুর। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নামা মাহেদি হাসানকে ১ রানে বোল্ড করেন স্পিনার নাসুম। তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানকে ৪ রানে থামান মিরাজ।
নাসুম-মিরাজের সাথে উইকেট শিকারের তালিকায় নাম তুলেন পেসার হাসান মাহমুদ। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে ৮ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হাসান। এতে পাওয়ার প্লেতে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর।
ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক নুরুল ও টিম ডেভিড ১৮ বলে ১৭ রানের জুটি গড়েন। নবম ওভারে ডেভিডকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নাসুম। ১টি চারে ৭ রান করেন ডেভিড।
দলীয় ৩২ রানে ডেভিডের বিদায়ে ক্রিজে আসেন হার্ড-হিটার আন্দ্রে রাসেল। উইকেটে সেট হবার চেষ্টায় সাবধানে শুরু করেন রাসেল। কিন্তু ৯ বলে ৪ রান করে স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে বোল্ড হন রাসেল।
১২তম ওভারে রাসেল ফেরার পর ১৩তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় রংপুর। লোয়ার-অর্ডার ব্যাটার রাকিবুল হাসান ও নুরুলকে শিকার করেন মিরাজ। রাকিবুল ১ এবং নুরুল ২টি চারে ২৫ বলে ২৩ রান করেন।
৫২ রানে নবম উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় ছিলো রংপুর। কিন্তু শেষ উইকেটে নাহিদ রানাকে নিয়ে খুলনার বোলারদের উপর চড়াও হন আকিফ। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান তুলে শেষ ব্যাটার হিসেবে পেসার মুশফিক হাসানের শিকার হন আকিফ। শেষ উইকেটে ২৬ বলে ৩৩ রান পায় রংপুর। ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় রংপুর। নুরুল ও আকিফ ছাড়া রংপুরের হয়ে আর কোন ব্যাটারই দুই অংকে পা রাখতে পারেননি।
মিরাজ ১০ ও নাসুম ১৬ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন নাওয়াজ-হাসান ও মুশফিক। (বাসস)