মিশরের রাজধানী কায়রোতে কপটিক অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের একটি গির্জা ও একটি দোকানে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। গির্জাটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবারের এ হামলার পর হামলাকারীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে আক্রান্ত দোকানটির মালিক একজন খ্রিষ্টান বলে জানা গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় দুই নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত দুই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বার্তা সংস্থা আমাকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। তবে দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করেনি জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
আগামী ৭ জানুয়ারি কপটিক খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস পরব উপলক্ষে আক্রান্ত গির্জাটিকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছিল পুলিশ।
কপটিক গির্জাটি জানিয়েছে, ওই বন্দুকধারী কায়রোর হেলুয়ানে গির্জা থেকে চার কিলোমিটার দূরে খ্রিস্টান মালিকানাধীন একটি দোকানে দুইজনকে হত্যার পর এগিয়ে এসে মার মিনা গির্জায় হামলা চালায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সে গির্জার প্রবেশ পথে গুলিবর্ষণ করে ও একটি বোমা নিক্ষেপের চেষ্টা করে।
এখানে সে এক পুলিশসহ অন্তত আটজনকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কপটিক গির্জা। পরে আহত এক নারী হাসপাতালে মারা যান বলে জানিয়েছে গির্জাটি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীকে প্রতিরোধ করে এবং আহত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে।”
সম্প্রতি মিশরের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গত বছর থেকে মিশরের বিভিন্ন স্থানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলায় একশর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সিনাই উপদ্বীপে সুন্নি এই জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিদ্রোহ মোকাবিলা করছে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্র: রয়টার্স
আজকের বাজার : এসএস/ এলকে/ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭