এবারের বিশ্বকাপের বড় তারকা হয়েই রাশিয়া গিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু চোটের কারণে খেলতে পারেননি প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেও জেতাতে পারেননি দলকে। বিশ্বকাপ থেকে এরই মধ্যে সালাহর দল মিসরের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। সোমবার সৌদি আরবের বিপক্ষের ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এই ম্যাচের আগে খবর রটেছে, নিজ দেশ মিসরের নাগরিকত্ব ছাড়ছেন সালাহ। মিসরের জার্সি গায়ে আর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলবেন না লিভারপুলের এই তারকা। তবে এই খবর অস্বীকার করেছে মিসর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব খেলছে আফ্রিকান দেশ মিসর। আর তাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ২৬ বছর বয়সী সালাহর। বিশ্বকাপে মিসরের বেস ক্যাম্প বসেছে চেচনিয়ায়। সেখানেই চেননিয়া প্রজাতন্ত্রের নেতা রমজান কাদরিভ সালাহকে দেশটির নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তারপরই গুজব রটেছে, মিসরের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন সালাহ। রোববার এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। তারা জানিয়েছে, সালাহ মিসরের নাগরিকত্ব ছেড়ে চেচনিয়ার হয়ে খেলবেন।
তবে এত খবর অস্বীকার করেছে মিসর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সালাহর মিসর ছাড়ার সংবাদটি পুরোপুরি ভুল। তারা বলেছে, সালাহ এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে আছে এবং সে দলের সাথে সুখী। সে সতীর্থদের সাথে খাওয়া দাওয়া করছে। সে ভালোভাবে অনুশীলন করছে। এর অর্থ কোথাও কোন সমস্যা নেই।
এদিকে মিসর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার ওসামা ইসমাইলও সালাহর মিসর ছাড়ার সংবাদটি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, সালাহ এখন দলের আছে আছে এবং সতীর্থদের সাথে অনুশীলন করছে। সে সব ম্যাচ খেলবে। সে কোন ধরনের অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। আমি জানি না, সিএনএন এ তথ্য কোথায় পেয়েছে ... সালাহ নিজের টুইটারে এ ধরনের ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত তা বিশ্বাস করবেন না।
আজকের বাজার/এমএইচ