প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় তাদের জন্মস্থানে ফেরানোর পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্বকে অবশ্যই সকল পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার নিউ ইয়র্কে ৫৮ পূর্ব ৬৮তম স্ট্রিটে বৈদেশিক সম্পর্কের ওপর ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক পারস্পরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিত নৃশংসতার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার তাদের উত্তর রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বের করে দিয়েছে। রোহিঙ্গা সহিংসতা ও নৃশংসতার কারণে বাধ্য হয়ে থেকে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য আমাদের সীমানা খুলে দিয়েছি।’
বাংলাদেশ সামর্থ্য অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এ সংকটের শান্তিপূর্ণ ও দ্রুত সমাধান চাই। মিয়ানমার এ সংকট সৃষ্টি করেছে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এই ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় কর্তৃক নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা শুনে আপনারা আঁতকে উঠবেন। আমি আরও বিশ্বাস করি, তাদের দুর্দশা দেখার পরে আপনারা খুব শিগগির তাদের বেদনাদায়ক দুর্দশার অবসান দেখতে চাইবেন।’