মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের জন্য দায়ীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচ দেশের ১৩২ জন আইনপ্রণেতা।
শুক্রবারে এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো আইনপ্রণেতারা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও পূর্ব তিমুরের পার্লামেন্ট সমস্য।
আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ার ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে রাখাইনে অভিযান পরিচালনার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
এপিএইচআরের চেয়ারপারসন মালয়েশিয়ার এমপি চার্লস সান্তিয়াগো বিবৃতিতে বলেন, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরু করার পর এক বছর পেরিয়েছে। ওই ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার কোনো কিছু এখনও দেখিনি।
তিনি বলেন, যেহেতু মিয়ানমার বিষয়টির তদন্ত করতে অনিচ্ছুক এবং অপারগ, সেহেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এমপিদের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারে সুবিচারের অভাব কেবল রোহিঙ্গাদের নয়, কাচিন ও শান প্রদেশে অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপরও প্রভাব ফেলছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলা হয়। ওই হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
এরপরই পালাতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে পড়ে সীমান্ত দিয়ে খু বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে মিয়ানমার বরাবরাই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।