মিয়ানমারের দ্বিতীয় নগরীতে মঙ্গলবার সেনা সদস্য ও জান্তা বিরোধী বেসামরিক মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষে চার বিক্ষোভকারী ও কমপক্ষে দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষ ছোট অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং পরস্পরকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। কর্তৃপক্ষ ও সামরিক সূত্র একথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর দমনপীড়ন মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী’ গঠন করে। তবে প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এক বিবৃতিতে জান্তা সরকারের তথ্য দল জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার সকালে মন্ডেলে’স চান ময়া থার্সি শহরতলির একটি বাড়িতে অভিযান চালাতে গেলে সেখানে তারা মিলিশিয়াদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে এবং পরস্পরকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারে।
সামরিক সূত্র এএফপি’কে বলেছে, এ অভিযান চলাকালে দুই কর্মকর্তা নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জানান, সেখানে অভিযানকালে চার ‘সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং হাতে তৈরি মাইন, হ্যান্ড গ্রেনেড ও অস্ত্রসহ আট জনকে আটক করা হয়েছে।
ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস টুইটার বার্তায় জানায়, তারা ‘মন্ডেলে’তে চলমান সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করছে। দেশটিতে সামরিক দমনপীড়নের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জরুরি ভিত্তিতে এ সংঘাত অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গ্রুপ জানায়, সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করায় মিয়ানমারে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এসব বিক্ষোভ দমনে সামরিক বাহিনীর দমনপীড়নে ৮৭০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।