মাদারীপুরের শিবচরে অপহরণের সাত দিন পর ওবায়দুর চোকদার (১০) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার মধ্যরাতে মাদবরেরচর এলাকার পুরাতন জাহাজঘাট এলাকার নদীতে মাছের ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পুলিশ এ ঘটনার মূল হোতা মারুফ চোকদারকে গ্রেপ্তার করেছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে খেলার কথা বলে ওবায়দুর বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সেখান থেকে আর ফিরে আসেনি। ওবায়দুর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের পূর্ব খাড়াকান্দি গ্রামের রতন চোকদারের ছেলে। সে খাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার মারুফ (২০), ইমরান (১৮), মনির (১৭) ও রাকিব (২০) নামের চার বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শিবচর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশু ওবায়দুল অপহরণের পর বুধবার সন্ধ্যায় একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের ১২ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর থেকেই ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গত শুক্রবার শিবচর থানায় জিডি করা হলে পুলিশ কৌশলে মারুফ নামের যুবককে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের কথা স্বীকার করলে পুলিশ অন্যদের আটক করে। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী রবিবার মধ্যরাতে মাছ ধরার ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওবায়দুরের মা জাহানারা বেগম জানান, ১২ লাখ টাকা দাবি করে ওবায়দুরকে ফিরিয়ে দিতে। এরপর আর যোগাযোগ করেনি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। গুরুত্বের সাথে বিষয়টি আমরা দেখছি।
ওসি জানান, পদ্মা সেতুর অধিগ্রহণের টাকার ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে মারুফ, তার বাবা ফরিদ চোকদার ও মোহাম্মদ মুন্সী এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে আটক মারুফ পুলিশকে নিশ্চিত করেছে।
আজকের বাজার: এলকে/ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭