ইসরাইলি কারাগার থেকে সোমবার ভোরে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের বহনকারী দুটি বাস পশ্চিম তীরের বায়তুনিয়া শহরে পৌঁছালে শত শত মানুষ উল্লাস করে, গাড়ীর হর্ন বাজিয়ে এবং শ্লোগান দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তাদেরকে স্বাগত জানায়। ফিলিস্তিনের বায়তুনিয়া থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
রোববার থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। বিনিময়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
সাংবাদিকরা জানান, মুক্তি প্রাপ্তরা বাসের উপরে উঠে হামাসের পতাকা উত্তোলন করেন।
তাদের সাথে যোগ দেয় ফাতাহ, ইসলামিক জিহাদ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের পতাকা, সেইসাথে ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকাও।
অন্যদিকে বাসের ভেতরে মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন মহিলা বন্দীকে হ্যাস্যোজ্জল ভঙ্গীতে ভি-চিহ্ন দেখিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। তাদের সাথে রেড ক্রসের একজন কর্মীকেও দেখা গেছে।
এরআগে ইসরাইলের কারাগার পরিষেবা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বন্দীদের প্রথম মুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
ইসরাইল কারাগার পরিষেবা রাত ১:৩০ টা (২৩৩০ জিএমটি রোববার) এর ঠিক আগে জারিকৃত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেছে, ’সকল সন্ত্রাসীকে ওফের কারাগার এবং জেরুজালেম আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
২০২৩ সালের নভেম্বরের পর হামাস এই প্রথম রোববার গাজা উপত্যকায় তিনজন মহিলা জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে আটক ৩৩ ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।