সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্বাধীন বাংলাদেশে সাহিত্যের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এদেশের সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলে এদেশে সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধ এদেশের কবি সাহিত্যিকদের সাহিত্য সাধনার বিশাল খোরাক। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের লেখকগণ ব্যাপক হারে তাদের লেখাকে সমৃদ্ধ করছেন। সাহিত্য যুব সমাজকে খারাপ কিছু থেকে দূরে রাখতে পারে।”
শুক্রবার রাতে নেত্রকোনার পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরের বকুল তলায় সাহিত্য সমাজ আয়োজিত দুদিনব্যাপী বসন্ত উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, “নেত্রকোনা হচ্ছে হাওর বাওরের জেলা। ভাটি বাংলার জেলা হিসাবে এখানে কবি সাহিত্যিকদের স্থান যেমন আছে, তেমনি সাহিত্য রচনায় অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র এই জেলা। কারণ মহুয়া মলুয়ার জেলা নেত্রকোনা।”
সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. রফিক উল্লাহ খান, দেশ বরেণ্য লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার, কবি নাসির আহমেদ, জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম আশরাফুল আলম এবং কবি স্নিাগ্ধা বাউল। এর আগে কবি কামাল চৌধুরীর কাব্য ‘ভাবনা’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি সরোজ মোস্তফা। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
