মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতির সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আয়োজিত ‘সুরক্ষাবিধানের দায়িত্ব এবং গণহত্যা প্রতিরোধ, জাতিগত নির্মূল, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনায় তিনি এ সমর্থন কামনা করেন।

মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) ঢাকায় এক তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়।

তারেক বলেন, জাতিগত নির্মুল, গণহত্যা ও সহিংসতা শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই সহিংসতা এবং সঙ্কটের ব্যাপকতা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততার সাম্প্রতিক যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পুনরায় যেকোনো সহিংসতা প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে বা তাদের পছন্দনীয় কোনো স্থানে স্ব-প্রণোদিত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যে ‘সেফ জোন’ তৈরির কথা বলেছিলেন তা পুনঃউল্লেখ করেন উপস্থায়ী প্রতিনিধি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানের অংশ হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে টেকসই ও অগ্রগতিশীল প্রচেষ্টার সাথে মিল রেখে বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন সমুন্নত রাখবে।

তিনি গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি’র সার্বজনীনীকরণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ