অধিকৃত পশ্চিম তীরে একজন ইসরায়েলি সেনাকে চড় ও লাথি মারা ঘটনায় আটক থাকা ফিলিস্তিনি তরুণী আহেদ তামিমিকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে ওই ঘটনায় তাকে আট মাস জেল খাটতে হয়েছে। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস জানিয়েছে, আহেদ এখন পশ্চিম তীর ফিরে যাচ্ছে।
আহেদ তামিমিকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর। গ্রেপ্তারের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ আনে। কিন্তু গেল মার্চে তিনি শারীরিক হামলাসহ চারটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নবী সালাহ’য় নিজের বাড়ির বাইরে একজন ইসরায়েলি সেনাকে চড় ও লাথি মারেন আহেদ। আর সেই ভিডিও ধারণ করেন তার মা নারিমান তামিমি। তিনি ওই ভিডিও তার ফেসবুকে প্রকাশ করলে তার ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের কাছে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরোধিতার প্রতীক হয়ে ওঠেন আহেদ তামিমি। তবে ইসরায়েলিরা তাকে একজন প্রকাশ্য উত্তেজনা-সৃষ্টিকারী হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, আহেদ তামিমি ‘সারা জীবন কারাবাস’ পাওয়ার যোগ্য।
এদিকে অনেক ইসরায়েলি মনে করেন, আহেদ তামিমির পরিবার তাকে দিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
তবে চড় ও লাথির ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের জাতীয় আইকনে পরিণত হওয়া আহেদের ম্যুরাল ও পোস্ট বিভিন্ন রাস্তায় শোভা পায়। আর তার বাবা আহেদের মুক্তির দাবিতে অনলাইন ১৭ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।
আজকের বাজার/এমএইচ