পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগে প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার মুদ্রানীতি ঘোষণার সময গভর্নর ফজলে কবির এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে ২০১০ সাল থেকে বিরাজমান মন্দা প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াটি যেন সুস্থ ধারায় থাকে- সে বিষয়ে কার্যকর নজরদারি করতে হবে।

নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে অতীতের মতো এবারও ‘প্রলুব্ধ ক্ষুদ্র’ বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলেও উল্লেখ করেন ফজলে কবির। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক উপদেশ জারি এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পন্সরদের শেয়ার এবং অস্বাভাবিক উচ্চ প্রাইস আর্নিং রেশিওধারী শেয়ারগুলোর বিপরীতে মার্জিন ঋণ যোগানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপও এজন্য বাঞ্চনীয় হতে পারে।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে সতর্ক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ আইন নির্দেশিত মাত্রায় সীমাবদ্ধ রাখার ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিক থেকেও তাদের গ্রাহকদের নেওয়া বিভিন্ন ঋণ সঠিক খাতে যথাযথ ব্যবহার হয় কি না- সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে। অস্বাভাবিক লাভের আশায় বিনিয়োগ যাতে অপব্যবহার না হয়- সে বিষয়ে নজরদারিও বাড়ানো হবে বলে জানান গভর্নর।

তিনি বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য স্ট্যার্টাপ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং পাইভেট ইক্যুইটি পুঁজিবাজারের বিকাশের জন্য নতুন প্রয়াস হিসেবে কাজ করছে। বিএসইসি এই প্রয়াসকে সমর্থন যোগাচ্ছে। সংস্থাটির ইস্যু করা অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট নীতিমালার আলোকে নতুন উৎপাদন উদ্যোগগুলোকে আর্থিকখাতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে কার্যক্রম সুগম করা জন্য বিআইডিএ এর সহযোগিতায় কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মূদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরে পুঁজিবাজারের আকার বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ১৫ শতাংশ। এটা দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সুত্র:  অর্থসূচক