মুদ্রাপাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এনবিআর

পানামা পেপাসর ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারি এবং মুদ্রা পাচারে যাদের নাম এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, মুদ্রাপাচারের বিষয়ে আমাদের একটা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের) আছে। বিএফআইইউ এর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শুল্ক ও গোয়েন্দা অত্যন্ত ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে। আমরা একে অন্যের তথ্য বিনিময় করি। আমরা মুদ্রাপাচারের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় পেয়েছি যা এখন খতিয়ে দেখছি। যথা সময়ে সেটা জানতে পারবেন’।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিআফআই) রিপোর্টের বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে ভালো অগ্রগতি হয়েছে যা পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই সক্রিয়। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মূখপাত্র আছে। আপনি এখানে নয় শাপলা চত্বরে গিয়ে সেটা জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গগত; পানামা পেপারস, প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারি প্রকাশ পেয়েছে সেখানে বাংলাদেশেরও নাম এসেছে। সম্প্রতি প্যারাডাইসি পেপারে বিএনপি চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে।
বৃটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত ছোট্ট একটি অঞ্চল বারমুডা। অঞ্চলটি নামমাত্র করের বিনিময়ে ব্যবসা করার জন্য বা সহজেই কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য পরিচিত। এর একটি ‘ল’ ফার্মের নাম অ্যাপলবি। বারমুডায় যারা কোম্পানি নিবন্ধন করেছে, তাদের সব তথ্য ছিল অ্যাপলবির কাছে। সম্প্রতি অ্যাপলবির হাতে থাকা ১ কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথির তথ্য ফাঁস হয়ে চলে যায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইএজে) কাছে। সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত ৬৮ দেশের ৩৮০ জন অনুসন্ধানী সাংবাদিক বর্তমানে তথ্যগুলো নিবিড় তদন্ত করছেন। প্রতিদিন নতুন তথ্য বের করছেন তাঁরা। তবে কেউ অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত এ কথা এখনও বলা হয়নি। আর ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৯৭ কোটি ডলার (৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি) পাচার হয়েছে বলে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ‘ইলিসিট ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোজ টু অ্যান্ড ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৫-২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল- এই ১০ বছরে বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।
আজকের বাজার: সালি / ২১ নভেম্বর ২০১৭