মুনাফার চিন্তা বাদ দিন: শিক্ষামন্ত্রী

ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা পরিত্যাগ করে জনকল্যাণ ও মানব সেবার মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যারা ব্যবসায়ের মানুষিকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে তাদের নানা চাপে রেখেও সঠিক পথে আনা সম্ভব হয়নি। তাই এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আধুনিক শিক্ষা দিতে হবে। তবেই নতুন প্রজন্ম পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারবে।

তিনি বলেন, যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও মুনাফার লক্ষ্যে চলতে চায়, নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হচ্ছে না এবং অবৈধ ক্যাম্পাসে পাঠদান চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এখন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কর্তৃপক্ষ যেন দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন-ফিসহ সকল ব্যয় নির্ধারণ করে।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ যারা গ্রাজুয়েট হলেন তারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তাদের জীবনের একটি অধ্যায় শেষ হলো, আরও একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো। সে জীবন হলো কর্মজীবন।

সমাবর্তন বক্তা আকবর আলী খান বলেন, আজ যারা গ্রাজুয়েট হচ্ছেন, তাদের জীবন চলা শুরু হলো নতুনভাবে। সমাবর্তনের মাধ্যমে তাদের জীবনের সাধনা শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, যোগ্যতার মাধ্যমেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। এর হাতিয়ার আজকের গ্রাজুয়েটরা। আপনাদের চেষ্টায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নিজের পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে হবে, আমাদের সমাজ পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা আজ যে সনদ পেলো সেটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মাদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী, ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন।

সমাবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৬১১ জন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দুজনকে চ্যান্সেলর পদক, সাত জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদক এবং তিন জনকে ডীন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

আজকের বাজার: আরএম/ ওএফ /এলকে ২১ ডিসেম্বর ২০১৭