মুনাফা বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন সাবসিডিয়ারি, নিজস্ব ভবনসহ পুনরায় স্ক্রিপ্ট-নেটিং (দিনে শেয়ার কিনে ওইদিনেই বিক্রির সুযোগ) চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ অক্টোবর রোববার সিএসইর ঢাকা কার্যালয়ে ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান ড. একে আব্দুল মোমেন এ ধরণের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এসময় ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, সিএসই প্রথমবারের পরিচালন খরচে ইতিবাচক অবস্থানে গেছে। যা এতোদিন নেতিবাচক ছিল। সর্বশেষ (জুলাই, ১৬-জুন, ১৭) হিসাব বছরে আমরা শেয়ারহোল্ডারদের ৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পেরেছি। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা।
তিনি বলেন, আমরা কোম্পানির মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কারণ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর সিএসই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।তবে দেরিতে হলেও এখন সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। একই সঙ্গে সিএসইর লেনদেন বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, সিএসইর আয় বাড়াতে সিএসই টাওয়ার নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের পরামর্শ বোর্ড গ্রহণ করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।পুনরায় স্ক্রিপ্ট-নেটিং চালু করার পরামর্শ এসেছে। স্ক্রিপ্ট নিটিং চালু করা হলে মার্কেটে আরও স্বচ্ছতা আসবে।
তিনি বলেন, সাবসিডিয়ারির ক্ষেত্রে আইটি কোম্পানি করার পরামর্শ এসেছে। আর ঢাকা ও চট্টগ্রামে যেসব বর্ধিত অফিস রয়েছে; তার সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাব এসেছে। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরেও নতুন শাখা খোলার প্রস্তাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শেয়ারহোল্ডাররা মনে করেন সিএসইতে নতুন প্রোডাক্ট চালু করা হলে সিএসইর ট্রান্সজেক্টশন বাড়বে। শেয়ারহোল্ডারদের এসব পরামর্শকে গ্রহণ করেছেন সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৯ অক্টোবর ২০১৭
