মুসলিম ব্যান নিয়ে উচ্চ আদালতে ট্রাম্প প্রশাসন

????????????????????????????????????????????????????????

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আইন পূর্ণাঙ্গভাবে পাশ করতে দেশটির উচ্চ আদালতে আপিল করেছে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ। মুসলিম দেশগুলোকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। গতকাল ২০ নভেম্বর সোমবার এ আপিল করা হয়।

মার্কিন উচ্চ আদালতে ট্রাম্প প্রশাসন এও আবেদন করে, পূর্বের আদেশ থেকে সাম্প্রতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভিন্ন। ‘প্রক্রিয়াধীন’ ও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ দুই আদেশগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে আলাদা করা হয়েছে। এই নীতির সঙ্গে ধর্মীয় বিদ্বেষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

গত ১৩ নভেম্বর তিন সদস্য ক্যালিফোর্নিয়ার ৯ম মার্কিন সার্কিট আপিল আদালতের ট্রাম্পের আবেদন আংশিকভাবে অনুমোদিত হয়েছিল। সেই রুল অনুযায়ী ৬টি দেশের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার আবেদন গৃহীত হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হয়। রয়টার্সের সূত্রে এ খবর জানা যায়।

ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও চাদ- এই ৬টি মুসলিম প্রধান দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আনে গত সপ্তাহের ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের রুলটি। এই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো যোগাযোগ নেই। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলার নামও যুক্ত ছিল।

গত মাসেও তৃতীয় দফায় দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে হনুলুলুর ফেডারেল আদালত। এর আগে মার্চেও ছয়টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেবারও ফেডারেল আদালতগুলো নিষেধাজ্ঞায় আপত্তি জানিয়েছিল।পরে সুপ্রিমকোর্ট আদেশটি আংশিক কার্যকরে সম্মত হয়।

নির্বাচনী প্রচারণায় মুসলমানদের ‘যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেন না’বলে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।ট্রাম্প বলেছিলেন, মুসলিম জঙ্গিদের থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি। চলতি বছরের শুরুতে ক্ষমতায় বসার ১ সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প ৮টি মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। মুসলিম দেশগুলোকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আদেশকে ‘মুসলিম ব্যানও’ বলা হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২১ নভেম্বর ২০১৭