মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের বিষয়ে বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এ আইনে প্রাণদন্ডের ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ নিরসনের ক্ষেত্রে নীতিমালা ও কার্যপ্রণালীর পর্যালোচনা মুলতবি থাকায় তিনি এ স্থগিতাদেশ জারি করলেন। খবর এএফপি’র।
এ পদক্ষেপ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতিমালার চরম পরিপন্থী। ওই নীতিমালার আওতায় ট্রাম্পের প্রশাসন রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোন ফেডারেল মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়নি। তিনি সর্বোচ্চ শাস্তিদানের আইনের বিরোধী হিসেবে পরিচিত।
স্থগিতাদেশের ঘোষণা দেয়া দুই পাতার এক বিবৃতিতে গারল্যান্ড লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মৃত্যুদন্ডের ব্যবহার অব্যাহত থাকার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এদিকে ‘নির্বিচারে এ আইনের প্রয়োগ করার ফলে মানুষের মনোভাবের ওপর এর অসম প্রভাব পড়তে দেখা যাচ্ছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘বিচার বিভাগের নীতিমালা ও কার্যপ্রণালী পর্যবেক্ষণের কাজ মুলতবি থাকায়’ কোন ফেডারেল মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যাবে না।
গারল্যান্ড বলেন, মার্কিন বিচার বিভাগকে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ফেডারেল ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় প্রত্যেকের কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও আইনে নিশ্চিত করা অধিকার পাওয়ারই না, নিরপেক্ষ ও মানবিক আচরণ পাওয়ারও অধিকার রয়েছে।’
‘সর্বোচ্চ সাজার বিভিন্ন মামলার ব্যাপারে বিশেষ বাহিনীর রয়েছে আইনগত বাধ্যবাধকতা।’
যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মৃত্যুদন্ড দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কার্যকর করে, ফেডারেল সরকার না।
মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বা গুপ্তচরবৃত্তির মতো বিভিন্ন ফেডারেল অপরাধের ঘটনায় সাধারণত মৃত্যুদ- কার্যকর করা যেতে পারে।
মার্কিন সরকার বিগত ১৭ বছরে কারো মৃত্যুদন্ড কার্যকর না করলেও ট্রাম্প প্রশাসনের শেষের দিকে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা শুরু হয় এবং নজিরবিহীনভাবে ১৩ ফেডারেল কারাবন্দির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়।