মেঘনাঘাটে বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে ভারতীয় রিলায়েন্স

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৭৫০ মেগাওয়াট গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স গ্রুপের প্রস্তাবে চূড়ান্ত সায় দিয়েছে সরকার। আজ ২৪ মে বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বাক্ষরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর ফলে মেঘনাঘাটে ৭৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র স্থাপন করার সুযোগ পাবে রিলায়েন্স গ্রুপ। রিলায়েন্স অবশ্য পর্যায়ক্রমে দেশে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হলো। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান জানান, ২২ বছর মেয়াদী এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ৯৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। ৭৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ কেন্দ্রটির ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের মূল্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩১ ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় পড়বে প্রায় ৫ টাকা ৮৫ পয়সা।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র মতে, কেন্দ্রটি নির্মাণে মেঘনাঘাটে রিলায়েন্স সরকারের কাছে এই এলাকায় ৪০ একর জায়গা চেয়েছে। সরকারের পক্ষে জমি দেবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের অধীনে মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করার জন্য একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে রিলায়েন্স। মহেশখালি থেকে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম পর্যন্ত একটি পাইপলাইন নির্মাণ করবে বাংলাদেশ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি। তবে এর ব্যয় রিলায়েন্সকে বহন করতে হবে। ওই পাইপলাইন দিয়েই এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহ করা হবে। স্থাপিত ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন হবে। বাকি গ্যাস সরকার আন্তর্জাতিক বাজারদরে তাদের কাছ থেকে কিনে নেবে।

গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় দেশটির শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানী এবং রিলায়েন্স বাংলাদেশে বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। আদানী গ্রুপের সঙ্গে ওই সময় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও রিলায়েন্সের সঙ্গে হয়নি। কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন রিপোর্ট না থাকায় ওই সময় চুক্তি হয়নি। আজ মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদনের পর এখন চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষা।

মন্ত্রিসভায় এদিন ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরজি ভার্সন) এবং রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসন পল্লী এলাকায় ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ২টি ২০ তলা ভবন ও একটি ১৬ তলা ভবন নির্মাণে পৃথক ৩টি ক্রয় প্রস্তাবসহ মোট ১১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২৪ মে ২০১৭