ক্রোয়েশিয়ার কাছে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) ৩-০ গোলে পরাজয় এবং বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে জায়গা করে নেয়ার অনিশ্চয়তায় আর্জেন্টাইনরা বিস্মিত, হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
ধারাভাষ্যকারসহ আপামর জনসাধারণ দলের সেরা তারকা মেসি ও কোচ সাম্পওলির ওপর ব্যাপক ক্ষোভ দেখিয়েছেন ম্যাচটির পর থেকে আর্জেন্টিনার মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের মিডফিল্ডার অসি আরডাইলের মতে, এবারের আর্জেন্টিনা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম দল।
মূলত ক্ষোভ প্রকাশ শুরু হয়েছিল ম্যাচশেষের পর পরই। ক্রোয়েশিয়ার কাছে এমন বিপর্যয়ের পর বৃহস্পতিবার রাতের সংবাদ সম্মেলনে একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ হর্হে সাম্পাওলি। সাংবাদিকদের থেকে আসা নানা প্রশ্নের নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হল-
আর্জেন্টিনার চার কোটি মানুষ এই হারে আপনাকেই দায়ী করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাম্পাওলি বলেন, সেটিই স্বাভাবিক। আমি নিজে দায় স্বীকারও করছি। আমিই দায়ী। ম্যাচসংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত আমিই নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের এই দলটায় মেসির সঙ্গে তালমিলিয়ে খেলার লোকের অভাব আছে। যে কারণে মেসির খেলাও সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওকে যথার্থ সঙ্গ দেয়ার মতো লোক পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া এই দলে এসে কিছু ফুটবলার মানিয়ে নিতেও পারেনি। অনেকে আবার মেসির সঙ্গে ঠিকমতো মেশে না। তাই দলে সমন্বয়হীনতার বড় অভাব দেখা যাচ্ছে।
এভাবে যে ৩-০ তে হেরে যাবেন আপনি নিজে কি তা ভেবেছিলেন এই প্রশ্নের জবাবে সাম্পাওলি উত্তর দেন, সত্যিই ভাবিনি। অনেক আশা নিয়ে মাঠে গিয়েছিলাম। তাই এ হারের পর ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
কোচ সাম্পাওলি বলেন, ভেবেছিলাম আমরা প্রথম থেকেই ক্রোয়েশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করব, সেটি হয়নি। তার ওপর প্রথম গোলের পর পুরো দলটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল।
আমার কাছে দলের সব ফুটবলারই অসম্ভব মূল্যবান। এখনও বলছি, দলটা ভালো। কিন্তু ম্যাচের সময় কখনও ওরা নিজেদের একসুরে বাঁধতে পারেনি।
আর কোনো আশা দেখছেন শেষের এই প্রশ্নে আতকে উঠে জবাব দেন তিনি, আপাতত আমাদের হাতে কোনো বিকল্পই হয়তো পড়ে থাকল না। এখন দেখতে হবে অন্য দল কী করে। অন্যদের ফলের ওপর ভিত্তি করে যদি কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর শেষ সুযোগ পেলে আমাদের চেষ্টা করতে হবে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার।
আজকের বাজার/আরআইএস