কাজান অ্যারেনায় নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে কে হাসবে জয়ের হাসি এ নিয়ে চলছে তুমুল তর্ক। তবে আর্জেন্টিনার ফুটবলের যাদুকর মেসি জ্বলে উঠলেই জিতে যাবে ম্যাচ। পুরো ম্যাচে তার ওপরই থাকবে সব আশার আলো।
আর্জেন্টিনার যেমন মেসি আছে, তেমনি ফ্রান্সের রয়েছে গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে ও পগবা। আজকের এই হাড্ডাহাড্ডির লড়াই দেখবে পুরো ফুটবল বিশ্ব সেই সাথে আর্জেন্টিনা কোটি সমর্থকরা।
আর্জেন্টিনা মানেই যেন লিওনেল মেসি। প্রথম দু’ম্যাচে মেসি জ্বলে উঠতে পারেননি। শুনতে হয়েছে নানা গঞ্জনা। তবে, শেষ ম্যাচে আপন আলোয় উদ্ভাসিত ছিলেন এই বার্সা তারকা। আর্জেন্টিনাও পেয়েছিলো কাঙ্খিত জয়। তাই দলের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে লিওনেল মেসির ওপর।
মেসির পরই আলবিসেলেস্তে সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবেন হিগুইন ও আগুয়েরো। আসরে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল করেছেন আগুয়েরো। তাই দলের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে এ দুজনের জ্বলে ওঠার ওপর।
মাঠের লড়াইয়ে জয়ের অদম্য ইচ্ছের কাছে কাছে উড়ে যেতে পারে সব পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যান সাক্ষ্য দিচ্ছে আর্জেন্টিনার পক্ষে। কিন্তু নক আউট পর্ব মানেইতো ডু অর ডাই।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাম্পাওলির ফরমেশন হবে ৪-২-৩-১। ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশমের ছক ৪-৩-৩। সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের প্রত্যাশিত এ লড়াইয়ে সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে পারেন তারকা ফুটবলাররা।
রাশিয়ায় রক্ষণভাগ নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। তাই এ ম্যাচে রোহো মারকাদো, তাগলিয়াফিকো ও মাসচেরানোদের পালন করতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। নয়ত ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। গোলপোস্টের নিচে যথারীতি গুরুদায়িত্ব থাকবে আরমানির ওপর।
আরমানির তুলনায় অনেক এগিয়ে ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে লরিস খেলে ফেলেছেন ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেখানে মাত্রই বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে আরমানির।
১৯৯৮ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের হয়ে একাই প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্গ গুড়িয়ে দিতে পারেন গ্রিজম্যান। উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ে তার ছিলো বড় ভূমিকা। তরুণ এমবাপ্পের দিকেও তাকিয়ে থাকবেন সমর্থকরা। আসরে এরইমধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
মাঝমাঠ সামলাতে হবে অভিজ্ঞ পল পগবাকে। প্রথম দুই ম্যাচে ছিলো তার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। তৃতীয় ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রাখেন দেশম। দলও ড্র করে বসে সুইডেনের বিপক্ষে।
আজকের বাজার/আরআইএস