মেহেরপুরে নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের পল্লীতে নদীতে ডুবে দু’দিনে তিন শিশু মারা গেছে। এর মধ্যে সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

তারা হচ্ছে- ভোলাডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে নুসরাত (৪) ও তার প্রতিবেশি আরিফুল ইসলামের মেয়ে তৃপ্তি (৩)।

স্থানীয় লোকজন জানায়, সকালে পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে নুসরাত ও তৃপ্তি বাড়ি সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।

পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভোলাডাঙ্গা বাজারের পাশে নদীর পানিতে নুসরাতের মরদেহ ভেসে ওঠতে দেখে। এসময় গ্রামের লোকজন নদীতে নামলে তৃপ্তির মরদেহ খুঁজে পায়। এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল রোববার সানজিদা খাতুন নামে আরও এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

চার বছরের সানজিদা মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার পিরতলা গ্রামের রাজমিস্ত্রি শাহাজামাল আলীর মেয়ে।

সানজিদার মা সাজেদা খাতুন জানান, রোববার দুপুরে প্রতিবেশী আজিজুল হকের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও আমার মেয়ে সানজিদা খাতুন তার বাবার সাথে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে যায়। খেলার সাথি আরিফুল ইসলাম নদীর পাড় থেকে নদীর পানির মধ্যে পড়ে যায়। এসময় সানজিদা খাতুন তাকে বাঁচাতে গেলে সেও নদীর মধ্যে পড়ে যায়।

পরে দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সানজিদা খাতুন মারা যায়।

কাজীপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের মেম্বর আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজকের বাজার/এমএইচ