পটুয়াখালীর বাউফলে মেয়ে মালাকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর জামাইকে নিয়ে পালিয়েছেন মা নার্গিস বেগম (৩৫)।
চলতি মাসের ২ তারিখে (বুধবার) এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মালা বেগমের চাচা হেলাল হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নার্গিস বেগমের সঙ্গে জামাই মামুনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলায় ২ জন মিলে মালাকে বিষ পান করিয়ে হত্যা করে।
হেলাল হাওলাদার জানান, পাঁচ বছর আগে মামুনের সঙ্গে মালার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মালা শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি মালার বাবা মারা যান। এর পর থেকে মায়ের দেখভাল করতে মামুনকে নিয়ে মালা বাবার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কিছু দিন আগে নার্গিস বেগমের সঙ্গে মামুনের পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারেন মালা। জামাইয়ের সঙ্গে নার্গিস বেগমের সম্পর্কের বিষয়টি এলাকার লোকজনও জানত।
২ মে (বুধবার) রাতে নার্গিস বেগম ও মামুনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন মালা। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। ওই রাতেই খাবারের সঙ্গে মালাকে বিষপান করায় তার মা নার্গিস বেগম ও স্বামী মামুন।
পরে তারাই মালাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখেই নার্গিস বেগম তার জামাই মামুনকে নিয়ে পালিয়ে যান।
আরজেড/