মৌসুমী ফল লটকনের নানা গুণ

বনেবাদারে লটকন গাছে ঝুলে থাকে । ফলটা  গোলগোল হলদে রঙের। ভেতরে হালকা গোলাপি বা বেগুনি রঙের শাদাটে রসালো কোয়া হয়। টক-মিষ্টি এই ফলটি সাধারণত বর্ষাকালেই পাওয়া যায়।

ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana। এই ফল সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করা হয়। লটকনের রয়েছে অনেক  পুষ্টিগুণ।

মিষ্টি স্বাদের লটকনের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। নরসিংদীতে লটকনের ফলন বেশি হলেও সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাজীপুর—এসব জেলায়ও ইদানীং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লটকনের চাষ হচ্ছে।
পুষ্টিগুণ :
লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে। প্রতি গ্রাম লটকনে ভিটামিন বি-১ আছে ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম রয়েছে ভিটামিন বি-২। পাকা লটকনে খাদ্যমানে খুব সমৃদ্ধ্ প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে থাকে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও রয়েছে আমিষ, লৌহ এবং খনিজ পদার্থ। বিস্ময়কর তথ্য হলো লটকনে আছে কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরি।
ভেষজগুণ:
লটকনের পুষ্টিগুণের সাথে সাথে রয়েছে ভেষজগুণ।

চলুন জেনে নেই লটকনের ভেষজগুণ সম্পর্কে:

খাবারে রুচি হয়:
লটকন খেলে সহজেই দূর হয় বমি বমি ভাব, বাড়িয়ে দেয় মুখের রুচি। এতে খাবারে রুচি হয়।

মানসিক চাপ কমায়

এটি  মানসিক চাপ কমাতে  সাহায্য করে।

ডায়রিয়ায় খুব ঊপকারী:
লটকন গাছের শুকনো পাতার গুঁড়ো ডায়রিয়া রোগীদের জন্য খুব উপকারি।এ গাছের পাতা ও মূল পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহুকাল ধরে।

চর্মরোগ উপশম করে:

এর গাছের ছাল ও পাতা চর্মরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গনোরিয়া রোগ উপশম করে:

গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় লটকন ফলের বীজ।

বাজারে এখন লটকন পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই-তিনটা লটকন খেয়ে স্বাদ নিতে পারেন মৌসুমী এ ফলের।

আজকের বাজার/এসএম