ময়নাতদন্তে পরিচয় মেলেনি পোড়া খুলির

রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডের জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা সাতজনের পোড়া খুলি ও কঙ্কালের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া একটায় শুরু হয়ে ময়নাতদন্ত শেষ হয় পৌনে দুইটায়।

দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ডা. সোহেলের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্তের তার সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক ডা. করির সোহেল ও ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।

ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, আগুনে পুড়ে মারা গেছে ওই সাতজন। খুলি ও কঙ্কালের ভেতর স্প্লিন্টার ও টিনের টুকরো পাওয়া গেছে। তবে কঙ্কালগুলোর কোনটি পুরুষ কিংবা নারীর তা শনাক্ত করা যায়নি। শুধু দুজন শিশু আছে এটা বোঝা গেছে।

ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষায় তাদের পরিচয় জানা যাবে।’

মিরপুরের মাজার রোডের পাশে বর্ধনবাড়ি ভাঙ্গা ওয়ালের গলির ২/৩-বি হোল্ডিংয়ের ছয়তলা ভবনটি থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সাতটি মাথার খুলিসহ পোড়া কঙ্কাল উদ্ধার করে র‌্যাব। সেগুলো গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নেয়া হয়।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে সাতজনের খুলি উদ্ধার করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য আবদুল্লাহ। অন্য ছয়জন হলো তার দুই স্ত্রী নাসরিন ও ফাতেমা, তিন থেকে নয় বছর বয়সী দুই ছেলে ওমর ও ওসামা এবং আবদুল্লাহর দুই কর্মচারী।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে র‌্যাব। ছয়তলা বাড়িটির পাঁচ তলায় অবস্থানরত জঙ্গি আবদুল্লাহকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে তিনি সময় নেন। মঙ্গলবার দিনভর তার আত্মসমর্পণের অপেক্ষায় থাকে র‌্যাব। কিন্তু রাত নয়টা ৪৯ মিনিটে পাঁচ তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে আগুন ধরে যায় ওই বাসায়। তাতে পুড়ে সাতজন মারা যায় বলে ধারণা করছে র‌্যাব।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭