ময়েজউদ্দিনের জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘মাটি ও মানুষের সঙ্গে মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তাঁর ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তার জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন-এর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, গাজীপুরের কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৬০ সালে এলএলবি পাস করে আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় হন। তিনি ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটি এবং মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিল’ এর আহ্বায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে তিনি এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ ময়েজউদ্দিন বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে সেনাশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি প্রথম শহীদ হয়েছিলেন।
তিনি শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন-এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।