মানিকগঞ্জের যমুনা নদীতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। আর পানি বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙনও। এই ভাঙনের মুখে রয়েছে বহু ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ণ ফসলী জমি।
পাহাড়ি ঢলে দুই সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। দুই সপ্তাহে যমুনার ভাঙনের শিকার হয়েছে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। দৌলতপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ ভেঙে গেছে আবুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়াও ভাঙনের মুখে পড়েছে ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চারটি ইউনিয়নের আরও কয়েকশ বাড়িঘর। এমন নদী ভাঙনে আতংকিত হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। ভাঙনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
জিয়নপুরের আবুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা।
জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতি বছরই বর্ষায় ভাঙন দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, জরুরি ভিত্তিতে যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে চরকাটারি ও বাচামার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ভাঙন কবলিত কিছু পরিবারকে চাল ও ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, প্রতি বছরই বর্ষায় নদী ভাঙনে বেশ কিছু বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবছর ভাঙন শুরু হওয়ায় এরইমধ্যে আবুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যমুনা চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীর পশ্চিম পাড়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এতে ওই দুটি বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আপাতত খোলা আকাশের নিচে তাদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আরও তেরটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন তীব্র হলে সেগুলোও অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।
দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিবছরই বর্ষায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এবছরও ভাঙনের তীব্রতা অনেক।