জেলার শার্শায় গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটো চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। উপজেলার শ্যামলাগাছি, নারায়নপুর, কাশিপুর গ্রামের মাঠে মাঠে গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটোর চাষ বেশি হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শিম ৭৫-৮০ টাকা এবং টমেটো ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে।
শার্শার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শিম চাষি রহমান মিয়া জানান, প্রতি বিঘা শিম চাষে খরচ দাঁড়ায় প্রায় লাখ টাকা, টমেটোর বিঘা প্রতি খরচ একটু বেশি হলেও বাজারে ভালো দাম থাকায় খরচের দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা যায়। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। নারায়নপুর গ্রামের কৃষক আবেদিন জানায়, বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে গত বছর এক বিঘা জমিতে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ করেছি। এবারো বাম্পার ফলন হয়েছে। লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার বলেন, যশোর অঞ্চলে চাষিদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের আগ্রহ বেড়েছে। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করছে কৃষকরা। এতে প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এক দিকে যেমন চাষিরা লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে অসময়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন সবজি। এ বছর শার্শা উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে ২৭ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিম ও ৩১ একর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিলো কম। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান