যশোরে ৭১৩টি মন্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা

জেলার ৮ উপজেলায় ৭১৩টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আগামী ১ অক্টোবর ৫দিনব্যাপী ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আগামি ১ অক্টোবর শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন জানান, এ বছর জেলা শহরসহ ৮টি উপজেলায় মোট ৭১৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শিল্পীরা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন। যশোর পৌরসভা এলাকায় ৪৬টি মন্ডপসহ সদর উপজেলায় মোট ১৫০টি মন্ডপে,অভয়নগরে ১৩০টি মন্ডপে, মনিরামপুরে ১০৫টি মন্ডপে, কেশবপুরে ৯৬টি মন্ডপে, বাঘারপাড়ায় ৯৭টি মন্ডপে, চৌগাছায় ৪৯টি মন্ডপে, ঝিকরগাছায় ৫৭টি মন্ডপে এবং শার্শায় ২৯টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার জানান, পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মত পূজামন্ডপগুলোতে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও রয়েছে পুলিশের নিয়মিত টহল।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি পুজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।