রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সুমন শিকদার তার ব্যবসায়িক অংশীদার ফয়সাল আহমেদের হাতে খুন হয়েছেন।
৭ মার্চ ‘কথিত ইসলামিক নিউজ অনলাইনে’র এডিটর সুমন শিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন ফয়সাল । এতে জনি নামে আরেক ব্যক্তি ফয়সালকে সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে।
হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৮ মার্চ ফয়সাল ও জনিকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব বিভাগ।
খুনের দায় স্বীকার করে তারা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সুমন হত্যার দুই দিন পর ৯ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানার ৩১নং শহীদ ফারুক রোডের একটি তিনতলার ফ্ল্যাটের শয়নকক্ষ থেকে তার হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে ফয়সাল বলেন, পূর্বশক্রতার জেরে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে জনিকে সঙ্গে নিয়ে ৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুমনের অফিসে যাই। তিনজন মিলে একসঙ্গে নাস্তা করি।
পরে কফি খাওয়ার কথা বলে সুমনের কাপে কৌশলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিই। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমন মোবাইল ফোনে এক মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অফিসের সোফায় ঘুমিয়ে পড়েন।
সুমন ঘুমিয়ে পড়ার পর বারান্দায় থাকা দড়ি এনে তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করি। এ সময় জনি অন্য রশি দিয়ে সুমনের হাত-পা বেঁধে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রুমে থাকা স্কচটেপ তার নাক ও মুখে পেঁচিয়ে দেয় জনি।
ডিবির ডেমরা জোনাল টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, সুমন হত্যার সঙ্গে জড়িত ফয়সাল ও জনিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে খুনের নেপথ্য তথ্য বেরিয়ে আসে।
পাওনা ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সুমনকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা সুমনের অফিস থেকে ইসলামিক নিউজ লেখা তিনটি বুম, বেশ কয়েকটি ডায়েরি উদ্ধার করেছি।
যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সিএনজি চালকদের ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর ও চাঁদার পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেন, ফয়সাল যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় বাসিন্দা। আর সুমনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। এক সঙ্গে চলতে গিয়ে তারা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
আজকের বাজার/আরজেড